আবার সেই স্বর্গের অপ্সরী জীবনে এসে তার
জীবনটা ভালবাসায় কানায় কানায় পূর্ণ করে দিল, সে চলে গেলেও তার সেই ভালবাসার অপূর্ণতায়
বুক চিনচিন ব্যাথা করে । কারণ সে চলে গেলেও তার ভালবাসা বুকের মাঝে রয়ে যায় । এই
ভালবাসা বুকের মাঝে থেকে যাওয়ার ক্ষমতা কতটা, তা নির্ভর করছে প্রেমিক বা প্রেমিকার
উপর । সে চলে যাওয়ায় প্রাক্তনের ভিতর কি পরিমাণ ভালবাসা রয়ে যায়, একে নাম দিচ্ছি
লাভ রেমিনেন্স । যার অর্থ ধার করলাম ভালবাসার ধারকত্ব । অর্থাৎ চলে যাওয়ার পর বা
প্রাক্তনের প্রতি সেই ভালবাসার ধারকত্ব । বুঝতেই পারছেন, যার লাভ রেমিনেন্স যত
বেশি সে প্রেমিক যে ততটাই প্রেম পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং তাকে ভাল প্রেমিক বানানো
যায়, এটা মানতে কারও আপত্তি নেই ।
এর মাঝেও বিজ্ঞানটা বোঝা যাক । কোন ফেরো
চৌম্বক পদার্থের মধ্যে যে চুম্বকত্ব থেকে যাচ্ছে, এই থেকে যাওয়ার ক্ষমতা বা কত
বেশি পরিমাণ থেকে যাচ্ছে তাকে বলা হয় রেমিনেন্স বা চৌম্বক ধারকত্ব । এক্ষেত্রেও যে
পদার্থের রেমিনেন্স যত বেশি, সে পদার্থকে তত ভাল মানের চুম্বক তৈরিতে ব্যবহার করা
সম্ভব ।
তবে এখানে একটা কথা আছে, প্রাক্তনের প্রতি
এই ভালবাসা যে যত বেশি ধরে রাখবে বা যার লাভ রেমিনেন্স যত বেশি হবে তার যেমন
দেবদাস হওয়ার সম্ভবনা তত বেশি । তেমনি যে পদার্থের রেমিনেন্স যত বেশি, তাকে স্থায়ী
চুম্বক হিসেবে তৈরি করাও তত সহজ ।
যাই হোক বলেছিলাম, প্রেম থেকে দারুণ কিছু
শিখতে । কিন্তু সত্যি এটাই, আমরা এই প্রকৃতি থেকে ভিন্ন কোন উপাদান নই । আমরা এই
প্রকৃতির মৌলিক উপাদানগুলোর নিছক সংকলন মাত্র । মানুষ বলতে জীব তৈরির যে কাঁচামাল,
যেমনঃ অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাইঅক্সাইড, পানি প্রভৃতি এই প্রকৃতি থেকেই
নেওয়া । তাই প্রকৃতির আর সব মৌলিক বা জড় উপাদানের সাথে জীবের মিল বিদ্যমান । হ্যাপি
সায়েন্স ।
লেখক
জিওন আহমেদ
No comments